বুধবার থেকে ৮ মাস জাটকা ধরা, পরিবহন এবং বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে ১০ ইঞ্চির ছোট ইলিশ রক্ষায় আইন ভঙ্গকারীদের জরিমানার বিধান রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার এ ৮ মাসে ১০ ইঞ্চির চেয়ে ছোট আকারের ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুত ও পরিবহন করলে সর্বোচ্চ দুবছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
মৎস্য অধিদফতরের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, ইলিশ রক্ষায় জাটকা ধরা, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদের ওপর টানা ৮ মাস নিষেধাজ্ঞা ১ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে শুরু হচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তারা লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং, মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচারনা চালিয়েছেন। এখানকার আইন-শৃংখলা রক্ষাবাহিনীর সাথে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সভা হয়েছে।
নৌ-পুলিশের এখানকার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোতালেব হোসেন জাটকা ইলিশ রক্ষায় নৌ-পুলিশ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। ইতিমধ্যেই নৌ-পুলিশের ৭টি ফাঁড়ি ও
একটি থানায় কর্মরতদের অভিযান সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। থানা ও ফাঁড়িগুলো থেকে প্রতিদিন ২টি করে টিম সার্বক্ষণিক নদীতে অভিযান পরিচালনা করবে।
জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, ২২দিনের নিষেধাজ্ঞায় যৌথ টিমের অভিযান সফল হওয়ায় বিপুল সংখ্যক ডিম ছেড়ে মা ইলিশ। ৮ মাসের জাটকা রক্ষার অভিযানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে যৌথ টিম কাজ করবে। এ যৌথ টিম মনিটরিংয়ের পাশাপাশি কোনো জেলে আইন অমান্য করলে তাৎক্ষণিক বিচারের আওতায় নিয়ে আসছে। এ যৌথ টিমে নৌ-পুলিশ, মৎস্য বিভাগ কাজ করছে।
এদিকে মঙ্গলবার দিনভর মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা নদীতে ইলিশের রেনু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, যেসকল নদীতে ইলিশের পোনা বেশি পাওয়া যাচ্ছে সেসব স্থান শনাক্ত করা হচ্ছে। অভিযানের সময় এ সকল স্থানে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply